বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

নিজেকে দেখার মত ভালো কোন আয়না নেই।


নিজেকে দেখার মত ভালো কোন আয়না নেই।
ছিল একটি, যা কিনা ভেঙ্গে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে!
চূর্ণ হওয়া গুটি কয়েক টুকরা দিয়ে আবারও,
নিজেকে নতুন করে দেখার স্বপ্ন বুনেছিলাম।
তার মধ্যে আরও একটি টুকরা বিচূর্ণ হয়ে যায়!
অত:পর আমি চূর্ণ হওয়া অপর একটি টুকরা বেছে নিলাম।
আবারও শুরু হলো নতুন করে নিজেকে দেখা।
দেখতেও ভালোই লাগতো, খুব আনন্দও হতো মনে মনে।
একবারের জন্যও মনে হয়নি আয়নাটি ভাঙ্গা।
কিছু দিন পড়ে কেমন যেন ঝাপসা ঝাপসা লাগে!
অবাক ব্যপার! এমন ঝাপসা ঝাপসা লাগে কেন?
পরে কোন এক সময় বুঝতে পারলাম যে,
আয়নাটি যে কৈশরের! কৈশর কাটিয়ে কখন যে,
যৌবনে পা রেখেছি মনে নেই।
এখনতো যৌবনেরও অনেকটা সময় পার করেছি,
এর পরই বুঝতে পারলাম অনেক কিছু,
এই ভাঙ্গা আর পুরানো আয়নাতে যে.
নিজেকে এর বেশী পরিষ্কার দেখা যাবে না।
মেনে নিতেই হবে কঠিন এই বাস্তবতা কে,
তবুয় মাঝে মাঝে ভুল করে ফেলি!
ভাঙ্গা আর ঝাপসা আয়নাতে নিজেকে খুঁজি।
আবার মনে পড়ে যায়, কোন লাভ নেই এতে।
ঘুমিয়ে থাকা বিবেক বলে দেয় তখন,
আমায় বার বার কেন বিরক্ত করিস?
এর চেয়ে ভালো আর দেখতে পাবিনা,
এটি নিয়েই সন্তুষ্ট থাক, এর বেশী আশা করিস না।

রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

গল্পগুলো নিঃশ্বাসের পরোয়া করে না__


শুধু চোখের পলকদেয়া বন্ধ হয়ে গেলেই
কী আমার অনুভূতিগুলো নষ্ট হয়ে যাবে___
মুছে যাবে জীবনের সাথে মিশে থাকা
প্রতিটা মুহূর্ত_________
আশেপাশের মানুষগুলোর কাছে কী আমার
কোন অস্তিত্ব থাকবে না_______
তাদের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্তই কি
শেষ হয়ে যাবে আমার নিঃশ্বাসের সাথে_____
জানিনা!হয়তো জানতেও চাই না!
 এ পৃথিবীতে একটা মানুষের কথা
কেইবা মনে রাখে______
তবুও প্রতিটা মানুষ একটা গল্প লিখতে চায়
একটি সাধারণ মানুষের অসাধারণ গল্প______
এ গল্প ঠাই পায় না কোন বইয়ের পাতায় বা
কারো কবিতার খাতায়_______
স্বর্ণদ্বারে রুদ্ধ মানব মনের মনিকোঠায় লেখা
এ গল্পগুলো নিঃশ্বাসের পরোয়া করে না_____
নিঃশ্বাসটা হয়তো বন্ধ হতে পারে!কিন্তু
অনুভূতিগুলোর কখনো মৃত্যু হয় না_____
একটি অলিখিত গল্পও তেমনি কখনো শেষ হয় না____
অসমাপ্ত গল্পগুলোর উপসংহার লেখা হয় না কখনোই!
সময়ের গন্ডি পেরিয়ে এরা বেচে থাকে অনন্তকাল____
আর একটি কবিতা!তুচ্ছ এ কবিতার শক্তি নেই
সে গল্পকে তুলে ধরার___

মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬

কিছু শব্দের নিবাসে


অসীম শূণ্যতার মাঝে তোমার অস্তিত্ব খুঁজতে খুঁজতে বড্ড ক্লান্ত আমি।সমস্ত শক্তি দিয়ে কষ্টের পর্দা সরিয়ে আর উঁকি দেয়না  আলো. আড়ালে ছিলাম  আজো আড়ালে আছি
জানি না তো আমি  কোন পথ খুঁজি
আমি এখন! নিয়ম করে ইচ্ছে মৃত্যু চাই
থমকে আছে অর্থহীন. এই বাঁচতে চাওয়া
বুকের মধ্যে কার যেন আওয়াজ শুনতে পাই
তাই চেনা পথ ধরে আমার হেঁটে যাওয়া

সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

ঘরের ভিতর না থাকে ঘুম না থাকে স্বপ্ন


আমার অস্থিরতা আমাকে যাযাবর বানিয়েছে!
যাযাবর দের বসত ঘর থাকে আকাশে!
ঘরের ভিতর না থাকে ঘুম না থাকে স্বপ্ন!
ভালবাসা আর অভিমান মিনিট আর ঘণ্টার কাটার মত
মাঝেমাঝে এক হয়ে আবার যাযাবর হয়ে যায়।
কি হবে মাটিতে ঘর বানিয়ে, আকাশকে আড়াল করে!
স্বপ্ন দেখবার দূরবীন খুঁজতে গেলে ঘর ভাংগে!
বুকে লুকিয়ে রাখতে রাখতে দূরবীনের কাচ ঝাপসা হয়ে যায়।
বুকের জানলা খুলে যাযাবর মানুষকে ডাকতে হয় মাঝেমাঝে!
মাঝেমাঝে যাযাবর ও খোলা জানালায় উকি দেয়!
বড় লোভ জাগে পরিপাটী বিছানার দিকে তাকিয়ে
স্বপ্ন দেখার দূরবীনে চোখ রেখে বলি -
আমি মৃত্যূর কাছে দাড়িয়ে ও অস্থির।।

রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

ঠিকানাটা হারিয়ে ফেলেছি

ঠিকানাটা হারিয়ে ফেলেছি চাহিদার ভীড়ে।এলোমেলো চাহিদা গুলো বড়ো নিষ্ঠুর। নির্মম হাওয়ার বেগে অনেক দূরে নিয়ে যায় অজান্তে। অনেক দূরে চলে এসেছি।ফুটপাতে মানুষ ঘুমায় কত শান্তি তে।গরিবের নেশায় অনিবরত বিরতিহীন ভাবে হেটে চলি পূর্ণ প্রহর গোনা রাত্রির শূন্য পথের শেষ যাত্রী মনে হয় আমি। নির্জনতায় ছায়ার ভীড় নিঃশব্দ পায়ে এগিয়ে চলেছে সাথে একাকিত্বের শূন্যতায় উজাড় হয়ে যাবো। উঁচু নীচু পথে জীবনের কত হোঁচট নিস্তব্ধতায় রক্ত ঝড়িয়ে মিশে গেছে ধুলোয়। নিরাশ্রয় হয়ে একাকিত্বের শূন্যেতায় জীবনের সত্তা নিয়ে কি হবে। স্বপ্নের অনুভূতি গুলো ভাষা হীন হয়েছে। দিশাহীন উপেক্ষীত মনে হয় সব। বাস্তবতার অন্ধকার গুহায় ঝিমুতে ঝিমুতে ঘুম-পাগল স্মৃতিগুলো একসময় চিরদিনের জন্য ঘুমপুরীর বাসিন্দা হয়ে যায়

বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

একটি মেয়েকে জন্মের পর থেকে ত্যাগ করতে হয়। ত্যাগ করতে হয় তার ইচ্ছে গুলো


মেয়েদের আমরা যতই আবেগী বলি দুর্বল বলি না কেন তাদের কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা সত্যি অসাধারণ।
মেয়েরা হয়তো ছোট্ট কিছু হলেই উহ আহ.. করে কিংবা ইনজেকশনের সূচ ফোটানোর মত ক্ষুদ্র আঘাতও তারা ভয় পায়। কিন্তু তারাই আবার প্রয়োজনে ডেলিভারির মত কয়েকশগুণ কষ্টও সহ্য করতে পারে! পারে প্রয়োজনে প্রিয়জনের জন্য সবকিছু উৎসর্গ করে দিতে। সারাদিন কষ্ট করে রান্নাবান্না করে স্বামী সন্তানের ক্ষুধা দূর করার মধ্যেই তারা শান্তি খুঁজে পায়, সারাদিনের কষ্টের কথা ভুলে যায়। সেটা আপনি আপনার মা'র দিকে তাকালেই খুব ভালোভাবে বুঝতে পাড়বেন।।
একটি মেয়েকে জন্মের পর থেকে ত্যাগ করতে হয়। ত্যাগ করতে হয় তার ইচ্ছে গুলো..মনের অনুভূতি গুলো। ত্যাগ করতে হয় বয়ফ্রেন্ডকে। পিতার ঘর ত্যাগ করতে হয়। বিয়ের পর ত্যাগ করতে হয় তার নাম। সন্তান লাভের পর ত্যাগ করতে হয় তার রাতের ঘুম...খাওয়া -দাওয়া।
.
অসীম ধৈর্য ত্যাগ কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা! আপনজনদের খুশী রাখার জন্য নিজের সবকিছুকে বিসর্জন দেয়ার ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা একমাত্র মেয়েদের কেই দিয়েছেন। তাই মেয়েদের বুঝতে শিখুন। তাদের সাথে কখনো খারাপ ব্যাবহার করবেন না...Cz Every girl wants respect..আর আপনি যদি তাকে সম্মান দিতে না পারেন তাহলে অন্তত অসম্মান করবেন না।
.
মেয়েদের মন খুব নরম। সেই নরম মনে কখনো আঘাত করোনা.. কখনো কষ্ট দিয়ো না। শুধু তাকে আপন করে একটু ভালবাসা দিয়ে দেখো.......... সমস্ত পৃথিবীর সাথে লড়াই করবে শুধুই তোমারই জন্য।
.
মেয়েরা সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৃষ্টি একটি মেয়েই পারে তার অগুছালো প্রিয় মানুষটিকে ভালোবাসার মায়ায় যত্ন করে গুছিয়ে তুলতে।
.
হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন
"ব্যবহার করা কপালের টিপটার আঠা নষ্ট হলেও মেয়েরা সেটা যত্ন করে রেখে দেয়। একজোড়া কানের দুলের একটা হারিয়ে গেলেও অন্যটা ফেলে না। পুরাতন শাড়িটা ভাঙা চুড়িটা.. কাজে লাগবেনা জেনেও তুলে রাখে..কারণ হলো মায়া। মেয়েরা মায়ার টানে ফেলনা জিনিষও ফেলে না। অসংখ্য কষ্ট যন্ত্রণা পেয়েও মেয়েরা মায়ারটানে একটা ভালোবাসা, একটা সম্পর্ক, একটা সংসার টিকিয়ে রাখতে চায়। এই জন্য মেয়েরা মায়াবতী আর মায়াবতীর কোন পুরুষবাচক শব্দ নেই।
পরিশেষে একটা কথাই বলব।
আমরা ছেলেরা সত্যি খুব lucky...
একজন নারীকে মা হিসেবে পেয়ে
একজন নারীকে বোন হিসেবে পেয়ে)
একজন নারীকে স্ত্রী হিসেবে পেয়ে...

শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬

বুক চাপড়ানো আর্তনাদ


এই আমার অযাচিত বেঁচে থাকা
বুক চাপড়ানো আর্তনাদ... আদম্য মৃত্য নাচ
এক অদৃশ্য দেওয়ালের মাঝে বন্দি
নিজেকে খুঁজতে গিয়ে নিজের মাঝেই হারিয়ে যাই।
রাতের আঁধার কে দূরে ঠেলে
নিয়ন আলোয় জলত্ব এই শহরের
পুরোটা জুরে তোমাদের বিচরন
চার দেয়ালের মাঝে আমার জমানো কথা
অব্যক্ত আবেগ নিকোটিনের ধোঁয়ায় আত্তহত্যা করে।
দেয়াল ভাঙ্গতে পারি না...... নিরব অস্তিত্ব জানিয়ে যাই।
আমার এই একলার রাজত্বে
এক রাশ বিষন্নতাই সঙ্গি।
কোন একদিন চলে যাবো কেউ জানবে না
ইতিহাসেও আমার অস্তিত্ব থাকবে না
দু ফোটা অশ্রু নিয়ে চোখে
কেউ শেষ বিদায় জানাবে না।
অমরত্ব চাই না
ভালবাসায় একটি প্রহর বাঁচতে চাই।

সেশ প্রহর


জীবনটা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ
একদিন সময় ফুরিয়ে যাবে। হয়তোবা
ফিরে পেতে চাইবো সোনালি সুদিন।
পাবোনা কিছুই তবুও চেয়ে যাবো হয়তো।
দেখা হবেনা সেই হাসিমুখ থাক না কিছু অসমাপ্ত গল্প জীবনের
শেষ প্রহরে অবসরে বসে কল্পনায় না
হয় সম্পূর্ণ করে নেব । হয়তো
তোমাকে নিয়ে অথবা তোমাকে
ছাড়াই ।

বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

তবু তোমায় ভালোবাসার ইচ্ছের প্রয়াণ নেই


তোমাকে ভালোবাসার আদম্ম ইচ্ছে
আজো রক্তের সাথে মিশে আছে
বিশ্বাস করো এখনো মাঝে মাঝেই
স্বপ্নের মাতাল নৃত্য হয় !
অনিন্দ্য পুষ্প পাপড়ির মতোই জন্মেছিলো
আমারও ভালোবাসা !
জানি বিশ্বাস করবে না আজো !
প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই ঝরে গেছের প্রণয়ের ফুল ।
তারপর থেকেই আজ অবধি ইচ্ছের অনাকাঙ্ক্ষিত লালন
দৃষ্টির পরিসীমা থেকে দূরত্ব ভুলে হৃদয়ের খুব কাছেই আপন মনে সাজিয়েছি
জানি বিশ্বাস করবে না আজো
তবু তোমায় ভালোবেসে যাই
লগ্নের শেষ ভাগেই হয়তো আমি
অপ্রাপ্তির কতো হিসেব নিকেশ আর করবো বলো
অবাক্ত কথার মালা যে থেকে গেছে গভীরেই
তবু তোমায় ভালোবাসার ইচ্ছের প্রয়াণ নেই

ব্যাস্ত শহরের কোলাহলে আবেগটা চাপা পড়ে যায়


ঘড়ির কাটাটা সেদিনও ঘুরছিল,আজও ঘুরছে...তুমি চলে গেছো বলে ঘড়ির কাটাটা একটা বারের জন্যেও থেমে যায় নি..সারাদিন ব্যাস্ত শহরের কোলাহলে আবেগটা চাপা পড়ে যায়...কিন্তু মাঝরাতে এসে সময়টা হঠাৎ করেই থেমে যায়..
এমন তো হবার কথা ছিলো না...ব্যস্ত শহরের বৃষ্টিতে তোমার আমার পা ঝুলিয়ে আকাশ দেখার কথা ছিলো....আমাদের বৃষ্টিগুলো আজ আর কেউ দেখে না...শুধু ভোর রাতে জানালার কাচে দু'এক ফোটা কান্নার জল হয়ে ঝুলে থাকে..
গত জোছনায় ভিজেছিলাম শেষ
আজও তার রেশ লেগে আছে ...
আমি বঙ্গ জলে পাঠাই চিঠি
দুঃখ তোমার শত্রু হোক

মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

দয়ে যতখানি ব্যথা

আমি মৃত্যুর আলিঙ্গন ফেলে আত্মমগ্ন আগুন ললাটের সৌমতায় তোমায় লিখে দিবো এক খানা প্রিয় নাম 
ভালোবাসা অঝর বৃষ্টির।অজশ্র টুপ -টাপ শব্দ
প্রতি মূহুর্তে কিছু মানুষের জীবনের।কিছু শূন্যতা কিছু অপূর্নতা
এবং
কিছু হারানোর ব্যথা। খুব বেশী স্বরন করিয়ে দেয়