রবিবার, ২৯ মে, ২০১৬

উদ্দেশ্যহীন বিষন্ন ছায়াতে

কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি ইট ভাটার আগুনের মতো সারারাত জাগা গোপন কষ্ট যার একটা অশ্রু ফোঁটা যে কি ভয়ঙ্কর তা বলে বোঝাতে পারবো না আমার ঘুড়িটার সুতা তোমার হাতে তুলে দিয়েছি অনেক আগেই স্মৃতির পাঁহারায় সুখ গুলো দুহাতে সরিয়ে দিয়ে গেলে..সুখ আজ মৃত আত্মাদের মত ঘুমিযে আছে জীবন নামের কবরে

বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬

একটাই দুঃখ বুঝলে না আমার ভালোবাসা

অচেনা আমি দুঃখ ভোলা চেহারা নিয়ে চলতে থাকব নতুন অজানায় আমি ভুলে যাব..বৃষ্টির অজস্র কোলাহলে। ভুলে যাব শেষ রাতে দু’চোখে ভিজে প্রতিটি ফোটার মাঝে ঝরে যাওয়া স্মৃতিগুলোকে অস্তিত্বহীন শূন্যতার মাঝে নিশ্চুপ নীরবতা বড় হাপিয়ে পড়ছি.অতি কষ্টে শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছি ক্যান্সারের কীটগুলো নাকি প্রতি মুহূর্তে বিপুল ক্ষমতা অর্জন করে অতি দ্রুত আমাকে সম্পূর্ণ দখলে নিতে চাচ্ছে মরা দেহটা কাকের দলগুলো ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছে আজ পৃথিবীর সব সুখগুলো হয়ত ফুলের পাপড়ির মতো ঝরছে তোমার আলোকিত জীবনে আর পৃথিবীর সব কষ্টগুলো বৃষ্টি হয়ে পড়ছে আমার এই অন্ধকার জীবনে তবুও আমি আজীবন দূর থেকেই তোমাকে ভালোবেসে যাব আর নির্জন রজনীতে দু’চোখের জমানো অশ্রু ঝরাব

সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬

James

Jedin bondhu chole jabo

দিন শেষে স্মৃতি ছাড়া কিচ্ছু থাকে না

d

নিশ্বাশ দিয়ে,
বিশ্বাশ করার পর.....
যখন বিশ্বাশ,
নিশ্বাশের সাথে বিশ্বাশ ঘাতকতা করে,
তখন প্রতিটি শ্বাশ প্রশ্বাশ ও বিশ পান এর মত লাগে

বুধবার, ১১ মে, ২০১৬

একটি ছোট্ট শব্দের অর্থ খুঁজতে গিয়ে হারিয়ে যাই তার গুরুত্বের গহীনে। আর তা হচ্ছে ‘ভালোবাসা

অনেকদিন ধরেই তোমার সঙ্গে যোগাযোগ নেই দুঃখে আমি বেছে নিয়েছি স্বেচ্ছানির্বাসন... ইচ্ছে করলেই হাত বাড়ালে হয়ত কাউকে পাব...কিন্তু এটা তো সম্ভব নয়। তাই জীবন নামক সমুদ্রে চলার পথে আমি একা নিঃসঙ্গ.. একরোখা আচরণ আমার বুকে যে যন্ত্রণা তৈরি করেছে তা আমাকে দিন দিন শেষ করে দিচ্ছে..হয়ত আমার এ কষ্ট দেখে তুমি হাসছ মনে মনে..আমার দেহসত্তার পুরোপুরি অংশ আজো মাঝরাতে জেগে থাকে বুঝতে পারি মস্তিষ্কের ঘিলু কেমন যেন শীতল থেকে শীতলতর হয়ে আসছে ভয় পাই.কখন জানি জমাট বেঁধে বরফ হয়ে যায়। বুঝি এত সেই না পাওয়ার কষ্টগাথা। বিশ্রী ধরনের এই কষ্টটাকে কেন জানি এখন একদম মেনে নিতে পারি না প্রতিচিকীর্ষায় ভুগি জেগে থাকা রাতগুলো কেন জানি অনেক গহীন হয়ে থাকে..একটা মুহূর্তের জন্য আমি স্থির হতে পারি না। নিকষ অন্ধকারে আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায় অন্ধকার অস্তিত্বের সঙ্গে আমাকে মিশিয়ে ফেলার জন্য নিঃশেষ করে দিয়েছি পরক্ষণে হাউমাউ করে কেঁদেছি

মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০১৬

আমার মনটা পোড়ে সর্বক্ষণ অজানা এক ব্যাথায়

নিঃশব্দ প্রহর গুনি চাঁদ ডোবা রাতের অচেনা আঁধারে
বিস্মৃতির অতল হতে ছুটে আসে দুঃস্বপ্নের ঘুণপোকারা
নিশীথের নিস্তব্ধতায় নির্ঘুম রাতের প্রহরে
রাত জাগা একা চেনা-জানা অনেকের মাঝেও
স্মৃতির আগল খুলে খুঁজে বেড়াই অস্তিত্বের কঙ্কাল
জোছনা বিহীন আকাশে মেঘের ছায়ার মত জেগে থাকে
ঘুমহীন ক্লান্ত দু’চোখ অশরীরি অন্ধকারে
শঙ্খচীল সময়গুলো জাগতিক চৈতন্য ভুলে
উদভ্রান্ত পথিকের মত ছুটে চলে মহাকালের মহাযাত্রায়
কৃষ্ণপক্ষের অন্ধকার থেকে ভেসে আসে স্বপ্নভঙ্গের আর্তনাদ
অপেক্ষার প্রহরে অধরা আকাশ কেবলই 
মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় কদাচিৎ
গভীর নৈঃশব্দে জেগে থাকি, একাকী 
নিদ্রাহীন স্বপ্নের মাঝে পুষ্প ছোঁয়া 
পুষ্পিত মন নিয়ে খুঁজে ফিরি নিজেকে
দুখি জীবনের মাঝে।

শনিবার, ৭ মে, ২০১৬

জীবন আর মৃত্যুর হিসেব গচ্ছিত


জেগে জেগে আকাশের বুকে কান পেতে তোমার শব্দ শুনি। আমি নিঃশ্বাস ফেলতে পারি না, আমি ঘুমাতে পারি না মাঝে মাঝে তোমার ছবি দেখি আজ হয়তো তুমি
সুখের বৃষ্টিতে
আর আমি একাকী কষ্ট গুলো কে
পুড়াই. তুমি আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ কিন্তু ছোট্ট
একটি অধ্যায় হয়ে এসেছো?
আমি কি সত্যিই অতিরিক্ত
প্রত্যাশা করে ফেলেছিলাম ভালোবাসার ওজন অনেক বেশি সবকিছু নিয়ন্ত্রন করলেও কষ্ট আর চোখের পানি আজ আমার অনিয়ন্ত্রিত কোন এক সমূদ্র স্নানে যদি আমার নিথর শরীর জোয়ারের তোড়ে তোমাদের মাঝখানে ভেসে উঠে জীবন আর মৃত্যুর হিসেব গচ্ছিত

বৃহস্পতিবার, ৫ মে, ২০১৬

জীবন তো নয় যেন একটা কাঠগড়া শুধু অভিযুক্ত হয়েই থাকলাম


জীবন তো নয়
যেন একটা কাঠগড়া
শুধু অভিযুক্ত হয়েই থাকলাম
অভিযোগ করার অধিকারটুকুও সব কিছু অর্থহীন ভেবে ভেবে যখন সময় কাটে সময় ফুরনোর অপেক্ষায়,
যখন রাতের কোলে শুয়ে শুয়ে শুধুই চোখের কাছে ঝর্নার প্রার্থনা,
যখন অনেক দিনের পর, চেনা ঠিকানা টা বড়ই অচেনা মনে হয়,
পরিচিত মুখ গুলো থেকে ধেয়ে আসা প্রশ্ন গুলো যখন অবাঞ্ছিত লাগে,
যখন খুব আপন কাউকেও ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করেনা,
দূরত্ব টাকেই মনে হয় এক পরম আশ্রয়,
প্রিয়ার স্মৃতি রোমন্থন এ যখন মন উচাটন ঠিক তখন
কিছু অচেনা মানুষের আদর, স্নেহ টাকে করি অবহেলায় নির্যাতন,
যখন সামনে পড়ে থাকা অফুরন্ত সময়, যাতে শুধুই শুন্যতার মৌন নিমন্ত্রণ…
যখন আবেগি মন টা কেঁদে কেঁদে সব হিসেব নিকেশ গুলিয়ে ফেলে বিশ্বাস এর শেষ দেয়াল টা ভেঙ্গে চুরমার করে দিতে চাইছে…
যখন দিন , মাস চলে যায়,
তবু ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি ঝরে যায় ক্ষণে ক্ষণে ,
কখনও বা বোবা কান্নায় বিস্তৃত হয় ঘর দুয়ারের সব অলিগলি…।
যখন কারো মৃত্যুর অপেক্ষায় প্রহগ গুনতে থাকা ভীত মন টার সব গুলো আর্ত চিৎকার
আমাকেই শুনতে হয়…
তখন জীবন, সময়, মন… এমন ই হয়ে যায়…
কখনও কখনও কিছুই করার থাকেনা,
না থাকে কিছু বলার…
বসে বসে শুধু বুকের গভীরের শুন্যতাকে
দীর্ঘশ্বাস এর সুতো দিয়ে মেপে মেপে দেখা…
আত্মবিশ্বাস এর পারদ পড়ে থাকে তলানিতে…
নিজেকে মনে হয় চারপাশের জগত থেকে পেছনে,
সেই অরন্য বাসী প্রাগৈতিহাসিক মানুষ গুলোর মত !
নিজের ভুল গুলো কে নিজের কাছেই মনে হয় এক একটা আর্তনাদ…
কেউ কেউ থাকে আমার মত , কখনই ভুল থেকে শেখেনা…
আমাদের সান্ত্বনা কি? …
আমার জানা নেই…
হয়ত সব ই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে…
নিজের জীবন থেকে যা বুঝেছি,
আমার ভুল গুলোর মাশুল দিয়েই বাকি জীবন কেটে যাবে,
এটাই হয়ত অজান্তে ,
অবচেতন মনে , আমার চাওয়া ছিল,
কারন কারো কারো জীবন টা পার করার জন্য কিছু থাকা চাই,
আর কিছু না হোক,
তাঁরা অন্তত আমার মত ভুল গুলো বয়ে নিয়ে যাবেন…
আরও কয়েকটা সূর্যাস্ত দেখার অপেক্ষায়…
সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদের ক্ষমা করেন,
এই টুকুই হোক প্রার্থনা…
কারন জীবন থেকে আমাদের আর পাওয়ার কিছুই নেই,
যদি কিছু দিতে পারি, তাই অনেক

বুধবার, ৪ মে, ২০১৬

অর্থহীন আত্মচিৎকার

অর্থহীন ক্যালিগ্রাফিতে ভরে যাচ্ছে সাদা পৃষ্ঠার ক্যানভাস সেই যে একদিন মধ্যরাতের কথাকাটিতে কেটে গেল হৃদয়- মারাত্মক আহত হল প্রাণ, সেই থেকে ভেসে বেড়াচ্ছি শূন্য হয়ে মহাশূন্যে, অনন্তকাল

রবিবার, ১ মে, ২০১৬


কাজের বুয়াঃ আপা এই নেন আপনার শাড়ি। এই শাড়ি আমি আর পরতাম না।
গৃহ কর্তিঃ কেন পরবা না? শাড়িটা অনেক দামি, আর বেশীদিন হয়নাই শাড়িটা আমি পরছি।
কাজের বুয়াঃ ঘটনা সেইটা না।
গৃহ কর্তিঃ ঘটনা তাইলে কি?
কাজের বুয়াঃ আপনার এই শাড়ি পইরা কাজ করতে ছিলাম। ভাইজান আমারে আপনি মনে কইরা ধারে কাছে ঘেঁষলই না একদম।
গৃহ কর্তিঃ কি????? এত্ত বড় কথা!!!!!!!!!
কাজের বুয়াঃ আরে রাখেন, কথাত এখনও শেষই হইল না। আমি যখন এই শাড়ি পইরা কাজ করতে ছিলাম, আপনাদের গাড়ির ড্রাইভার আমারে আপনি মনে কইরা জাপটাই ধরছিল।
গৃহ কর্তিঃ (থতমত খেয়ে) আচ্ছা ঠিক আছে, তোমাকে আমি নতুন শাড়ি কিনে দিবনে, কেমন!!!!!!!!!!!!