সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৬
একটি পাখি, পৃথিবীর অগণন মৃত্যুরাশি চিনে নিয়ে ফিরে আসে নীড়ে । আর তুমি ? আমার অপরাজিতা সূর্যকে চেন তুমি ? জানো মেঘহীন শ্রাবণীর উৎস ? অথবা রক্তকমল কেন কৃষ্ণচূড়া নয় ? কখনও ছুয়েছ অদৃশ্য কুহেলিকা নরম দুহাতে ? গোপনে গোপনে কত পাপ করেছে সঞ্চয়, এই মহান পৃথিবী; চেয়েছো জানিতে ? চাওনি ;.... তুমি;.... কখনও;.... আমায় জেনে নিয়ে, সমস্ত জানার আকাঙক্ষা ফেলেছ হারায়ে তুমি....। আমারে নিয়েছ চিনে , এই ভেবে- সমগ্র বিশ্ব চেনা .... হয়েছে তোমার ; এ এক সহজ বিস্ময়! তবু যখন আবার ভোর হয় ভাবো তুমি; “রাত্রি হলেই ভালো” রাতের তিমিরে যখন প্রেম জ্বালে তার নিজস্ব আলো সে আলোয় পৃথিবীর কেউ কারো মুখ চিনে নিতে পারে না। সে তবু চিনে লয়, তার অভীষ্ট হৃদয়। অসীম নিস্তব্ধতার মাঝে জেগে ওঠে প্রেমের অলৌকিক ভাষা। সে ভাষায় ঘুমে বিভোর পৃথিবীর কয়না কথা কেউ কেবল নিঃসঙ্গ নীল নদীর পবিত্র ঢেউ একা পথ চলে। আর; তার তীরে বসে আমাদের অশরীরী আত্না তারা গোনে ধ্রুব আকাশের । ...............শুনি অস্পস্ট তারারা অচেনা ভাষায় কথা কয় কেউ আর শোনে না তা আমরা শুনি – মৃত পাতাগুলি শান্তিতে মাটির বুকে ঝরে পরে অত:পর শব্দহীন জগতে রহস্যময় শব্দ সৃষ্টি করে আমাদের শরীর ক্লান্ত হলে, অপরের চোখে যুগল ছবি আঁকি যতক্ষন .. না .. ভোর আসে পূর্বাকাশ লাল হতে শুরু করলে যত দূরে সরে যাও তুমি ততই নিকটে আসো প্রকৃতির খেয়ালে । একটি তারা হতে অপর একটি তারা কত আর যেতে পারে দূরে? একটি জীবন মৃত হয় জন্ম লয় নতুন এক হৃদয় যদিও শরীর ঝরে যায় শীতে তবু স্বপনেরা কি মৃত হয় ? কিংবা প্রণয় ???
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন